ডাকসুর ভিপি-জিএসরা কে কোথায়?

দেশের শিক্ষা, স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর নেতা তৈরির আঁতুড় ঘর বলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে (ডাকসু)। ডান, বাম, মধ্যপন্থা- সব দলেই ডাকসুর সাবেক নেতাদের সক্রিয়-সগৌরব অংশগ্রহণ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনাকারী সংগঠন ডাকসু। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মোট ৩৬ বার। আমরা যদি পেছনে ফিরে তাকাই তাহলে দেখবো, ডাকসুতে এমন সব উজ্জ্বল নক্ষত্র এসেছেন যারা পরবর্তীতে রাজনীতির আকাশকে আলোকিত করেছেন। ডাকসুর নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতারাই পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

১৯২১ সালে উপমহাদেশের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক টাকা চাঁদা দিয়ে তখন এর সদস্য হতে হতো। এভাবেই যাত্রা শুরু হয় দেশের স্বাধিকার, ভাষার সংগ্রাম ও স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার ডাকসুর।

ডাকসুর প্রথম ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন যথাক্রমে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৮-২৯ সেশনে ভিপি ও জিএস হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম ও এস চক্রবর্তী, ১৯২৯-৩২ সময়কালে রমণী কান্ত ভট্টাচার্য ও কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান, ১৯৪৭-৪৮ সেশনে অরবিন্দ বোস ও গোলাম আযম,

১৯৫৩-৫৪ সালে এস এ বারী এটি ও জুলমত আলী খান, ফরিদ আহমেদ। এরপর ভিপি ও জিএস নির্বাচিতদের মধ্যে যথাক্রমে রয়েছেন নিরোদ বিহারী নাগ ও আব্দুর রব চৌধুরী, একরামুল হক ও শাহ আলী হোসেন, বদরুল আলম ও মো. ফজলী হোসেন, আবুল হোসেন ও এটিএম মেহেদী, আমিনুল ইসলাম তুলা ও আশরাফ উদ্দিন মকবুল, বেগম জাহানারা আখতার ও অমূল্য কুমার, এস এম রফিকুল হক ও এনায়েতুর রহমান, শ্যামা প্রসাদ ঘোষ ও কে এম ওবায়েদুর রহমান, রাশেদ খান মেনন ও মতিয়া চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন ও আসাফুদ্দৌলা, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী ও শফি আহমেদ, মাহফুজা খানম ও মোরশেদ আলী, তোফায়েল আহমেদ ও নাজিম কামরান চৌধুরী, আসম আব্দুর রব ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন।

১৯৭২-৭৯ সময়কালে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্র ইউনিয়নের মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও মাহবুব জামান। ১৯৭৯, ১৯৮০ ও ১৯৮২ সালে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। প্রথম ২ নির্বাচনে যথাক্রমে জাসদ-ছাত্রলীগের এবং বাসদ-ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়ে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জিতেছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও আখতারুজ্জামান। ১৯৮২ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৮৯ পর্যন্ত ভিপি ও জিএস পদে যথাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন আখতারুজ্জামান ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। ১৯৮৯-৯০ সেশনে দায়িত্ব পালন করেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবং মুশতাক আহমেদ। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৯০-৯১ সেশনের জন্য ভিপি ও জিএস পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হন আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকন।

আসুন জেনে নেই ডাকসুতে নেতৃত্ব দেয়া সেই উজ্জ্বল ছাত্রনেতাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন কে কোথায় আছেন:

তোফায়েল আহমেদ: তিনি ১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তোফায়েল ‘মুজিব বাহিনীর’ অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরশাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে ১৪ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০৮ ও ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দশম জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

মতিয়া চৌধুরী: ‘অগ্নিকন্যা’ নামে খ্যাত মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থি রাজনীতি দিয়ে। তিনি ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৬৩-৬৪ মেয়াদে। ১৯৭০ ও ১৯৭১-এ তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকও হয়েছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

গত কয়েক মেয়াদ ধরেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। মহাজোট সরকারের গত দুই মেয়াদে (২০০৯-২০১৪ এবং ২০১৪-২০১৮) কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি এবারের নির্বাচনসহ ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

রাশেদ খান মেনন: ১৯৬৩-৬৪ মেয়াদে ডাকসুর ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বামপন্থি রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তিনি। ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আদায়, সামরিক আইনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি হন।

২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক জোট ১৪ দল গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখেন। ২০০৮-এর নির্বাচনে জিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ৭৬ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের হয়ে ২০০৮ থেকে গত তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের জন্য গঠিত সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হন তিনি। ওই নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী করা হয়েছিল তাঁকে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ গেরিলা বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন শেষে পার্টি-জীবনকে বেছে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ক্ষেতমজুরদের সংগঠিত করার কাজে মনোযোগ দেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে প্রায় আট বছর কারাবরণ ও আত্মগোপনে ছিলেন ৭১ বছর বয়সী প্রবীণ এই বামপন্থি নেতা। বর্তমানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি তিনি। এর আগেও একবার একই পদসহ দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।

আখতারউজ্জামান: আশির দশকের সামরিক এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে খ্যাতিমান আখতারউজ্জামান ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে ডাকসুর পরপর দুইবার জিএস এবং ১৯৮৩ সালে ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতির নানা ধাপ পেরোনো সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান একাত্তরে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেরাদুনে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত গাজীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য এবং গাজীপুর জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

মাহমুদুর রহমান মান্না: তিনি ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে এবং ১৯৮০ সালে বাসদ থেকে নির্বাচন করে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে ১৯৭২ সালে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) জিএসও নির্বাচিত হন। মান্নার রাজনৈতিক জীবন শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। পরে জাসদ ছাত্রলীগ ও বাসদ ছাত্রলীগ হয়ে নব্বইয়ের দশকে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এরপর জনতা মুক্তি পার্টিতে যুক্ত হলেও দলটি ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে বিলুপ্ত হলে মান্নাও এই দলে যোগ দেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ওয়ান-ইলেভেনের পর বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ২০০৯ সালের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। পরে তিনি নিজেই নাগরিক ঐক্য নামের আলাদা দল গঠন করেন। বর্তমান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মান্না নিজ এলাকায় একাধিকবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলেও জিততে পারেননি। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও হেরে যান তিনি।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এই নেতা নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে দল থেকে ছিটকে পড়েন।

পরে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হন। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনেও ভূমিকা রাখেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের টিকিটে এবং ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

আমান উল্লাহ আমান: ডাকসুর ইতিহাসের সর্বশেষ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনসহ ২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদের বিএনপি সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেলেও আদালতের রায়ের কারণে নির্বাচন করতে পারেননি।–সম্পাদক.কম